বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নড়াইলে ৪ আগস্ট সদরের মালিবাগে পুলিশ বক্স ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও নাকশী বাজারে পুলিশের পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
নড়াইলে ৪ আগস্ট পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আসামি ৬০০
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর সার্কেলে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মো. মফিজুর রহমান শেখ বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ৪ আগস্ট সকাল ১১টায় সদরের নাকশী বাজার এলাকায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সমাবেত হন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে নড়াইল শহরে প্রবেশ করতে গেলে রাসেল সেতুর পূর্ব পাশে থাকা আওয়ামী লীগ ও এর অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেন।
এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী গুলি করায় কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে শটগান থেকে ১০১ রাউন্ড কার্তুজ, গ্যাসগানের ৩১টি টিয়ারশেল ফাঁকা ফায়ার করে৷ ফাঁকা ফায়ারের পর উভয়পক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তবে তাদের একটি অংশ ঘটনাস্থল থেকে পিছু হটে সদরের মালিবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়।
আরও জানা যায়, মালিবাগ মোড়ে তারা পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরে নড়াইল ঢাকা মহাসড়কে পুলিশের একটি টহল দলের পিকআপ ভ্যান লক্ষ্য করে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন।

পুলিশ এসময় পিছু হটে পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেই বাড়িতেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয়। এতে আশ্রয়দাতার বাড়ির আসবাবপত্র নষ্ট হয়। তাতে তার দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়া পুলিশের ডাবল কেবিনের পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। এতে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও দেখুনঃ